মরন ব্যাধীতে আক্রান্ত বালুনদী- নেই পাল তোলা মাঝির ভাটিয়ালী ভাওয়াইয়া গান

গাজী সোহেল: শীতলক্ষা, তুরাগ নদীর মধ্যবর্তী স্থান বালুনদী। যার ওপর ভিত্তি করে দুই পাড়েই গড়ে ওঠেছে নানা পেশার মানুষের বসতি। এক সময় সারি সারি পাল তোলা নৌকায় মুখরিত ছিলো নদীটি। ছিলো হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। ভাটিয়ালী ভাওয়াইয়া গানে প্রান জুড়াত ভ্রমন পিপাসুদের। সময়ের পরিবর্তনে আজ নদীর নেই কোন প্রানেজ্বল জীবন। নদীটি দিনে দিনে পরিনত হচ্ছে ময়লা আবর্জনার ডোবায়।
অসংখ্য নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নদী বালু নদী । এই নদীর বুকে এখন নেই কোন মমতা নেই কোন ভালোবাসা। বালু নদী তার বুকে ধারন করছে বিষের ঝুড়ি, যার মাধ্যমে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু বৃদ্ধাসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ। বালুনদীর কুৎসিত কালো ময়লা ও দূর্গন্ধ যুক্ত পানি বিষিয়ে দিচ্ছে নদীর আশে পাশের মানুষের জীবন। রুপকথার গল্পের রাক্ষশ-খোক্কস শুয়োরানী দুয়োরানীর গল্পের মতো বালুনদীর গল্প আজ আমাদের সন্তানদের কাছে চিরচেনা গল্প।
বালুনদী ধীরে ধীরে হারাচ্ছে তার সৌদর্য্য ও নব্যতা। এক সময় এই নদীর বুকথেকে অসংখ্য মাছ ও শামুক পাওয়া যেত যা থেকে জীবিকা নির্বাহ করত নদী পারের জেলে পল্লী গুলো । আজ তারা বেকার অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তাদরে জীবন। একসময় নদীপাড়ের মানুষেরা এই পানি রান্না, ধোয়ামোছা,গোসল করা ইত্যাদি কাজে ব্যাহার করত,অথচ আজ সেই লোকজন নদীর দিকে ফিরেও তাকাতে ভয় পায়।কারন তারাজানে কাজ করা দূরেথাক যদি এইপানি একবার তাদের শরীরকে স্পর্স করে তবে তারা জড়িয়ে পরবে নানা ধরনের চর্মরোগে।একসময় আমরা নদীতে সাতার কেটে হৈচৈ করে গোসল করতাম।
কিন্তু আমাদের সন্তানদের কাছে আজ তা শুধুই স্বপ্ন। আমাদের সন্তানদের এই স্বপ্ন কখনোই কি বাস্তবতায় রুপ নেবেনা,কে জানে ? এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন রুপগঞ্জ থানা কায়েত পারা ইউনিয়নেরে কেওডালা এলাকার মুদি দোকান্দার জাহাঈির সরকার। যেই নদীর পানিতে কৃষক গরু ছাগল গোসল করাত , কৃষিজমিতে চাষের কাজে ব্যাবহার করত। সেই নদীর পানিতে আজ জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য মশা মাছি।
এক প্রকার বলাযায় বালু নদী হচ্ছে মশা মাছি ও বিভিন্ন প্রকার জীবানুর উৎপ্নস্থল ও অভয় অরন্য।যার ফলে বিভিন্ন প্রকার বায়ু বাহিত ও পানি বাহিত রোগে ক্রমাগত আক্রান্ত হচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ।একটা সময় গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরম যখন জনজীবন অতিষ্ট করে তুলত তখন নদীপাড়ের মানুষগুলো খুলেদিত দক্ষিনের দার, হালকা মৃদু দক্ষিনা বাতাস জুরিয়ে দিত তাদের মন প্রান,সেই সাথে ছিল মাঝির ভাটিয়ালি গান,তা ছিল এক মধুভরা মুর্হুত।
আজ যা শুধুই অতিতের ভাবনা। ঘুমিয়ে গেছে বালু নদী। হয়তবা একদিন এভাবেই হারিয়ে যাবে আমাদের আগামী প্রজন্ম। আগামী প্রজন্ম কি কোন দিনই বালু নদীর সেই চলন্ত উজ্জল রুপ দেখতে পাবে না। এর কি কোন প্রতীকার নেই?
Related News

মরন ব্যাধীতে আক্রান্ত বালুনদী- নেই পাল তোলা মাঝির ভাটিয়ালী ভাওয়াইয়া গান
গাজী সোহেল: শীতলক্ষা, তুরাগ নদীর মধ্যবর্তী স্থান বালুনদী। যার ওপর ভিত্তি করে দুই পাড়েই গড়েRead More

“অনাকাঙ্ক্ষিত শিহরণ”
“অনাকাঙ্ক্ষিত শিহরণ” মো:খোরশেদ আলম বিপ্লব। আজি এ আষাঢ়ে বর্ষ মুখরিত প্রাতে লাগলো প্রানে দোলা, ভাসমানRead More
Comments are Closed